কঠিন সময় যেভাবে নিজেকে শান্ত রাখবেন!

খারাপ সময়ে নিজেকে শান্ত রাখার উপায়
https://www.sbdfoodtips.xyz/2023/06/How-to-keep-yourself-calm-during-difficult-times.html

ভালো-মন্দ মিশিয়ে মানুষের জীবন। আনন্দ আর কান্নার সমন্বয়ে একটা মানুষের জীবন অতিবাহিত হয়। তাই বলে আপনি যে কাচি দিয়ে ঘচ ঘচ করে মন্দ আর কান্না কেটে বাদ দিয়ে দেবেন তা কখনো সম্ভব না। কেননা এই  ভালো-মন্দ মিশিয়েই জীবনের সৌন্দর্য। মন্দ আর কান্না আছে বলেই ভালো আর আনন্দের জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি। কিন্তু যখন আপনার কিছুই ভালো লাগে না, খুবই কঠিন সময় অতিবাহিত হয় জীবনের উপর থেকে, ভাঙচুর করতে ইচ্ছে করছে, নিজের পক্ষে উল্টোপাল্টা কোন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটি ঘটিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে, অথবা অপর পক্ষের মনে মনে আপনি যেগুলো বলেছেন সেগুলো চিৎকার করে শোনাতে ইচ্ছে করছে। তখন আপনি নিজেকে শান্ত রাখবেন কিভাবে? এই বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে বিজনেস গ্রোথ মেন্টর। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক খারাপ সময় নিজেকে শান্ত রাখার কিছু উপায়। 

হুট করে মাথা গরম হলে করণীয়

হুট করে যদি এমন কিছু শুনলেন যাতে, মাথাটা হিটারের চেয়েও দ্রুত গতিতে উত্তপ্ত হয়ে গেল। তখন আপনি কি করবেন? এমন অবস্থায় ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ুন। খানিক পথ হেটে বা দৌড়ে আসুন। যাতে শারীরিক পরিশ্রম হয়। কেননা হাঁটার ফলে এন্ডরফিনস, অক্সিটোসিন, ডোপামিন, এন্ডেনালিন এমন সব ফিল্ম গুড হরমোন নিঃসৃত হয়। যাতে আপনার বেশ খানিকটা ভালো লাগবে। এবং শারীরিক পরিশ্রমের ফলে আপনার ব্রেনের চিন্তা ভাবনাও বেশ খানিকটা পরিবর্তন হবে। যে কারণে সহজেই আপনার আগের থেকে অনেক বেটার ফিল হবে।

অফিসে দিনের পর দিন প্যারা খাওয়া থেকে বাঁচার উপায়

যদি অফিস নিয়ে দিনের পর দিন প্যারা খান বা কিছুতেই মন বসছে না এমন অবস্থার ভেতর দিয়ে যান। তাহলে সবকিছু থেকেই একদিনের জন্য ছুটি নিয়ে নিন। এবং ছুটি নিয়ে নিজেকে রিলাক্স করার জন্য বন্ধু-বান্ধব অথবা প্রিয় কোন জায়গা থেকে ঘুরে আসুন। অথবা পরিবারকে নিয়ে কোথাও ডিনারে যান। আপনার মনে যেটা ভালো লাগে সেটাই করুন। পুরনো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারেন, মনের কথা ভাগাভাগি করে নিন বা পরিবারের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটান। দেখবেন বোরিং সময়টা কিভাবে পার হয়ে গেছে।

https://www.sbdfoodtips.xyz/2023/06/How-to-keep-yourself-calm-during-difficult-times.html

অন্যকে দান করুন

সর্বদা কথায় আছে দানে আত্মতৃপ্তি বাড়ে। এমন একজন মানুষের জন্য কিছু করুন যাকে আপনি চেনেন না অথবা ভবিষ্যতে আর দেখা হওয়ার কোন সম্ভাবনাও নাই। এইতো সেদিন একজন ইউটিউবার অনেকগুলো শপিং করে বের হয়ে রাস্তার পাশে এক বৃদ্ধ (ওজন মাপওয়ালাকে) দিয়ে দিলেন। এই ধরনের কাজ আপনাকে ভেতর থেকে অনেক সময়ের জন্য একটা ভালো অনুভূতি দিবে। যা কিছুতে বা আহত চিহ্ন আছে সেগুলো সব ঢেকে যাবে লীন হয়ে যাবে আপনার মন থেকে।

আরো পড়ুন মাত্র পাঁচ অভ্যাসেই দূর হবে মানসিক সমস্যা https://www.sbdfoodtips.xyz/2023/03/Tips-to-overcome-depression.html

খোলামেলা পরিবেশে কিছুটা সময় কাটান

এমন একটা জায়গায় বসুন যেখানে আপনাকে কেউ দেখবে না কিন্তু আপনি অনেককেই দেখতে পাবেন। যেমন একটা কফি শপে বসে আপনি হয়তো ঘন্টাখানেক একটা গরম কফি হাতে ব্যস্ত রাস্তা মানুষ আর আশপাশ পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। অথবা আপনার অফিসেই আপনি এমন একটি জায়গা খুঁজে পেতে পারেন বাসার ছাদও হতে পারে এমন একটি স্থান যেখান থেকে আশেপাশের ব্যস্তময় মানুষের জীবন যাপন এক কথায় হ্যাপেনিং লাইভ অবজার্ভ করতে পারবেন। লাইভ হ্যাকসের গবেষণামতে এতে আপনি নিজের জীবনকে ওই সামগ্রিকতার একটা ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে জুড়ে দিতে পারবেন। তখন আপনার নিজের ভেতর জুড়ে যে হতাশা ক্ষোভ বা বিষণ্যতা জমে আছে সেটা অনেকাংশেই ছোট হয়ে আসবে।

আপনি যে অবস্থার ভিতরে আছেন সে অবস্থা নিয়ে চিন্তা করুন

আপনি যে অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন সেই বিষয় নিয়ে একটু পড়াশোনা করুন। ডায়েরিতে পুরো বিষয়টি খুঁটিনাটি লিখে ফেলুন। এর পাশে আপনার নিজের শক্তিশালী দিকগুলো নোট করে রাখতে পারেন। বিশেষ করে পুরনো শখ অভ্যাস বা সৃজনশীল কাজ নতুন করে শুরু করতে পারেন। এই সময়ে পুরনো সেই রকম কোন শখ না থাকলে নতুন করে শুরু করতে পারেন। এমন কিছু করুন যেটা আপনি ছোটবেলায় করতেন। অথবা জীবনে এত সিরিয়াসলি নেবেন না। আনন্দে থাকুন নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলুন। নিজেকে পর্যাপ্ত ঘুমান। বিশেষ করে আট থেকে নয় ঘন্টা ঘুমিয়ে উঠে দেখবেন মন খারাপের ভাব অনেকটাই কমে গেছে।

সবসময় এটি মনে রাখবেন জীবনটাই একটা ভ্রমণ। আর সেই ভ্রমণের ঝুঁকি ক্লান্তি সবই আছে। আপনাকে কেবল ঠান্ডা মাথা রেখে ভ্রমণটাকে উপভোগ করতে হবে। এভাবে দেখবেন আপনি ঠিকই একদিন আপনার গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। তারপর একটু থেমে নতুন কোন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। আর যদি কোন গন্তব্য না পৌঁছান তাতে কি? নিশ্চিত করুন যাত্রাটা আপনার মন্দ যায়নি।

Disclaimer

আজকের আলোচনাটি এই পর্যন্তই। আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন খারাপ সময়ে অথবা বোরিং সময় নিজেকে কিভাবে শান্ত রাখতে হয় অথবা আপনার জীবনটিকে কিভাবে উপভোগ করতে পারবেন সে সম্পর্কে । ভাল লাগলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এতক্ষণ ধরে কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Advertisement

Advertisement