ছেলেদের মতে, মেয়েদের আসল সৌন্দর্য কী? বা কীসে?
সৃষ্টি থেকে শেষ অবধি কেন্দ্রে রয়েছে নারী। হাজার রুপ এবং রহস্যের ভান্ডারী এই নারী, কখনো মা, কখনো বোন, কখনো নানি বা প্রিয়তমা স্ত্রী। তাদের জন্যই সুন্দর ধরণী স্রষ্টার এই কারিগরি। নারী স্রষ্টার এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। যদিও নর-নারী এই দুইয়ের মিলিত রুপ সুন্দর ও সাফল্যময় এই পৃথিবীতে। কেননা উভয়ের মিলিত প্রচেষ্টাতেই পৃথিবী আজকের এই অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। মহান স্রষ্টা উভয়কেই সৃষ্টি করেছেন পারস্পারিক এবং দুনিয়াবাসীর কল্যাণের জন্য। এবং উভয়ের মাঝে সম্পর্ক করে দিয়েছেন সহযোগিতা মূলক। তবে পুরুষের থেকে সর্বদাই নারীর সৌন্দর্য অনেক বেশি থাকে। সেই সাথে থাকে হাজারো রহস্যঘেরা। তাই আজকে আমাদের এই আলোচনায় নারীদের আসল সৌন্দর্য কি? বা কিসে? এবং সৌন্দর্যের রহস্য সম্পর্কে জানবো।
মেয়ে মানুষের সৌন্দর্য কিসের মাধ্যমে ফুটে ওঠে?
একজন মেয়ে মানুষকে শুধু দেখতে ভাল হলে তার আসল সৌন্দর্য ফুটে ওঠে না। হয়তো বেশিরভাগ মানুষ দেখতে সুন্দর সুশ্রী মেয়েদেরকে সুন্দরী বলে আখ্যায়িত করে থাকে।তবে একজন মেয়ের শুধু তার চেহারার মাধ্যমে সুন্দরী হতে ওঠে না বরং আরো কিছু অসাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে তার আসল সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। বিশেষ করে আচরণ। মেয়েদের নারী সুলভ আচরণ হওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। একজন পুরুষ কখনোই তার মনের মানুষটির মধ্যে পুরুষালী আচারন আশা করেন না।তিনি নারীর সুলভ কোমলতাই খুঁজে থাকেন তার প্রিয় মানুষটির কাছে। এবং এই বিষয়টিকে তিনি সৌন্দর্যের চাইতেও বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চলুন তবে কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক।
১. আত্মসম্মানবোধ
পুরুষেরা সে সকল নারীদের বেশি মূল্যায়ন করে থাকে যাদের মধ্যে রয়েছে আত্মসম্মানবোধ। অর্থাৎ যে নারী নিজেকে ভালোবাসেন তাকে ভালোবাসতে বেশি উন্মুক্ত থাকেন পুরুষেরা। নিজের পার্সোনালিটি বজায় রেখে যে নারী বেশিরভাগ পুরুষের পছন্দের লিস্টে থাকে।
২. মুখ ভঙ্গী
নারীদের সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো মুখ ভঙ্গি। একটি অপূর্ব সুন্দর চেহারা মুখ ভঙ্গি ছাড়া একেবারেই অর্থহীন। একবার চিন্তা করে দেখুন তো অনেক সুন্দরী নারী কিন্তু হাসতেই জানেনা। শুধুই মুখ শক্ত করে বসে থাকলে তাহলে কি তিনি আকর্ষণীয় হবেন? মোটেই নয়। পুরুষেরাও এমনই ভাবে।
৩. বুদ্ধি প্রতিভা
অনেকের মতে ছেলেরা একটু কম বুদ্ধির মেয়েদের বেশি পছন্দ করে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে একজন ব্যক্তি সম্পন্ন পুরুষ নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে পছন্দ করেন বুদ্ধিমতী এবং বাস্তব জ্ঞান সম্পন্ন নারীদের। কেননা একজন বুদ্ধিমতী মেয়ে পারে তার জীবনসঙ্গী তথা তার পরিবারকে সুন্দর ভাবে বাঁচাতে। একটা সংসারের শান্তি সুশৃঙ্খলা বজায় রাখতে একটি বুদ্ধিমতী নারী যথেষ্ট।
৪. আত্মবিশ্বাসী
আত্মবিশ্বাস এর মাধ্যমেই নারীটি কেমন তার নির্ণয় করা সম্ভব। আত্মবিশ্বাসী পুরুষ যেমন নারীদের অনেক পছন্দের। তেমনি আত্মবিশ্বাসী সেই নারীকে সকল পুরুষ আকর্ষণ করে থাকেন। সুতরাং নারীদের সৌন্দর্যের একটি রহস্য হলো আত্মবিশ্বাসী। যে নারী যত বেশি আত্মবিশ্বাসী সেই নারী তদন্ত বেশি সুন্দরী।
নারীর সব সৌন্দর্য কোথায় লুকিয়ে থাকে?
বলা হয়ে থাকে পুরুষ সৌন্দর্যের পূজারী এবং নারীর সৌন্দর্যের আঁধার।রুপক অর্থে নারিকে তাই কখনো দেবীর সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে। পুরুষ যেন সেই দেবীর মুখমুগ্ধ একজন পূজারী। সৌন্দর্য ছাড়াও চেহারা, চুল, কথা, কিংবা হাসি যাই বলা হোক না কেন পুরুষ যেন এগুলোর মনোমুগ্ধ গুণবিচারি। তবে সব দিক থেকে বিচার করে নারী সব সৌন্দর্য উপকরণের মধ্যে যেটি পুরুষের মনের জায়গা করে নেয় সহজে এবং যা সেই মনে বসবাস করে দীর্ঘদিন তা হল নারীর দাত। শুনতে অবাক লাগলে এটা কিন্তু কয়েক বছরের গবেষণার ফল।
ম্যাচ ডট কম নামের একটি অনলাইন পত্রিকা তাদের জরিপে এমন ধরনের তথ্যই প্রকাশ করেছিল। সংস্থাটি আরো বলেছিল হলিউড কিংবা আর যাই হোক না কেন, সেলিব্রেটি হয়ে কোন লাল কার্পেটে হাঁটার জন্য যে জিনিসটি সবচেয়ে জরুরী তাহলো একটি চোখ ধাঁধানো সাদা হাসি। তবে পছন্দের কোনো পুরুষকে নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও মুক্তার মত দাঁতও হাসি অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুন গরমে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন https://www.sbdfoodtips.xyz/2023/03/How-to-take-care-of-skin-in-summer.html
এবং সেই জরিপে শেষে ম্যাচ ডট কম অভিমত দেয় যে দাঁত হলো প্রথম জিনিস। যা কোন নারীর ক্ষেত্রে পুরুষ যে দিকে প্রথম দৃষ্টি রাখেন। কোন পুরুষ তার সঙ্গী নির্বাচনে নারীর কোন দিকগুলোর প্রতি মনোযোগ দেয় তার উপর ভিত্তি করে ম্যাচ ডটকম তাদের এই জরিপটি চালিয়ে গিয়েছিল। আর জরিপে ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়ে নারীর দাত এখন প্রধান আকর্ষণ বলে অবস্থান করছে সবার উপরে।
যে গুন গুলো একজন নারীকে করে তোলে অতুলনীয়া
বেশিরভাগ মেয়েরা মনে করে থাকেন সুন্দর চেহারা এবং আকর্ষণের দৈহিক সৌন্দর্যের অধিকারী হলেই তিনি সকলের চোখে হয়ে উঠবেন অতুলনীয় রূপসী। বিশেষ করে আমাদের সমাজে পরিপ্রেক্ষিতে এমনটা ভাবা খুব বেশি অস্বাভাবিক নয়। কেননা আমাদের সমাজ আগে দর্শনধারী এবং পরে গুণবিচারই নীতিতে বিশ্বাসী। আর এই কারণেই মুখের উপর মেকাপের প্রলেপ দিয়ে ডায়েট করে সকলের চোখে রূপসী হতে চান সকল নারী।
অনেকেই বলে থাকেন ছেলেরা মেয়েদের মধ্যে শুধু সৌন্দর্যই খুঁজে থাকেন। কিন্তু একজন ব্যক্তি সম্পন্ন পুরুষের কাছে বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। একজন ব্যক্তি সম্পন্ন পুরুষ নিজের মনের মানুষ নির্নয় করার সময় শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যের উপরে ভিত্তি করে বসে থাকে না। বরং তার ভিতরে আরো অনেক বিষয় খুঁটিনাটি যাচাই করে দেখেন। কেননা একজন দায়িত্ববান পুরুষের কাছে সুন্দর চেহারার চাইতে বেশি মূল্যবান নারীর আরো কিছু অসাধারণ বৈশিষ্ট্য।
একজন মেয়েকে সুন্দরী এবং অতুলনীয় রূপসী করে তোলার পেছনে বেশ কয়েকটি গুণ বা বৈশিষ্ট থাকা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে মেয়েলি আবেগ, মায়া মমতা, বুদ্ধিমত্তা, ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাসী, কর্মদক্ষতা। এই গুনগুলো থাকাটা আবশ্যিক। একজন নারী যত সুন্দরী হোক না কেন তার সকল সৌন্দর্যই বৃথা যদি তার ভিতর মেয়েলী আবেগ না থাকে। একজন নারীকে অপূর্ব করে তোলে তার মেয়েলী আবেগগুলো। মায়া মমতা নারীর ভূষণ স্বরূপ। নারী মাত্রই মায়া মমতা পূণ্য একজন মানুষ। কারণ একজন নারী মায়ের ভূমিকা তে ও থাকেন। কথায় বলে মেয়েরা মস্তিষ্ক দিয়ে নয় হৃদয় দিয়ে চিন্তা করে থাকে। তার মায়া, মমতা, ভালোবাসার, ভিতরে ব্যক্তিত্ব এবং আত্মবিশ্বাসী ও কর্মদক্ষতা এই গুনগুলো একজন মেয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । মধ্যাকথা হলো এই গুনগুলো যে মেয়ের ভিতরে বিদ্যমান রয়েছে সেই মেয়ে নিঃসন্দেহে একজন সুন্দরী রূপসী কমলীয় অতুলনীয়।