ক্যান্সার থেকে মুক্তির সহজ উপায়
ক্যান্সার একটি প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা। সারা বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে এই মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগটি। ক্যান্সারের চিকিৎসায় সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং অন্যান্য থেরাপি এর সাথে রোগ নিরাময় অথবা সংকুচিত করা বা এর অগ্রগতি রোধ করা যেতে পারে অনেকাংশে। যদিও কিছু লোকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এক ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য চিকিৎসার সংমিশ্রণ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তবে ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচেয়ে সাধারণ চিকিৎসা হলো সার্জারি, কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন। এছাড়াও অন্যান্য বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে লক্ষ্যযুক্ত থেরাপি, ইমিউনো থেরাপি, লেজার থেরাপি এবং হরমোনাল থেরাপি। এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধে লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলা ও ফল শাকসবজি মটরশুঁটি এবং গোটা শস্য খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বিশেষ সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
মরণব্যাধী ক্যানসার নাম শুনলেই অনেকেই আঁতকে ওঠেন। কারণ ব্যয়বহুল চিকিৎসায় এই রোগের বেশিরভাগ মানুষই মারা যায়। অনেকেই মনে করেন এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় নেই বললেই চলে। কেননা এই রোগ হওয়ার পরেও চিকিৎসা নেয়ার পরে অনেক মানুষই মারা যায়। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই তথ্য উঠে এসেছে যে ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় রয়েছে। বিশেষ করে সহজ কিছু উপায় মেনে চললে ক্যান্সার ঝুঁকি কমানো যায়। আর এজন্যই ক্যান্সার প্রতিরোধে আপনি নিতে পারেন কিছু পদক্ষেপ।
মাত্র দুটি কাজ করলেই ক্যান্সার উধাও!
ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি (বি ভি) বলেছেন, ক্যান্সার কোনো মরণব্যাধি নয়, কিন্তু মানুষ এই রোগে মারা যায় শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণে।তার মতে, মাত্র দুটি উপায় vঅনুসরণ করলেই উধাও হবে ক্যান্সার। উপায়গুলো হচ্ছে:-
১. প্রথমেই সব ধরনের সুগার বা চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। কেননা, শরীরে চিনি না পেলে ক্যান্সার সেলগুলো এমনিতেই বা প্রাকৃতিকভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে। ফলে ক্যান্সার সেলগুলো আর বৃদ্ধি পেতে পারেবে না।
২. এরপর এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু চিপে মিশিয়ে নিন। টানা তিন মাস সকালে খাবারের আগে খালি পেটে এই লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান করুন।দেখবেন উধাও হয়ে যাবে ক্যান্সার।
মেরিল্যান্ড কলেজ অব মেডিসিন- এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কেমোথেরাপির চেয়ে এটি হাজার গুণ ভাল।
৩. প্রতিদিন সকালে ও রাতে তিন চা চামচ অর্গানিক নারিকেল তেল খান, ক্যান্সার সেরে যাবে।
চিনি পরিহারের পর নিচের দুটি থেরাপির যেকোনো একটি গ্রহণ গ্রহণ করুন। ক্যান্সার আপনাকে ঘায়েল করতে পারবে না। তবে অবহেলা বা উদাসীনতার কোনো অজুহাত নেই।এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধে আরও বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে যা নিচে আলোচনা করা হলো
কেমোথেরাপি
কেমোথেরাপি হলো একটি সাধারণ ক্যান্সারের চিকিৎসা। যা ক্যান্সারের কোষ কে ধ্বংস করতে এবং টিউমার বৃদ্ধি রোধ করতে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে। তবে কোন লুকানো ক্যান্সারের কোষ খেয়ে মেরে ফেলার জন্য সার্জারির মতো অন্যান্য চিকিৎসার সাথেও এই পদ্ধতিটি যুক্ত করা যেতে পারে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করার ফলে এটি ক্যান্সারের কোষগুলিকে ক্রমবর্ধমান বিভাজন এবং সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে। ক্যান্সারে একটি কেমো ড্রাগ দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। তবে কেমোথেরাপি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াসহ আসতে পারে। এজন্য চিকিৎসা প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে আপনি কি আশা করতে পারেন সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে পারেন।
ব্যাথা ব্যবস্থাপনা
ক্যান্সারে চিকিৎসায় ব্যাথার ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে ব্যাথা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন ব্যাথা নাশক অঙ্কুপাংচার, শারীরিক থেরাপি, মেসেজ, শিথিল করণ ব্যায়াম, ধ্যান এবং সম্মোহনের মতো সমন্বিত থেরাপি। উপরন্ত তাপ এবং ঠান্ডা কমপ্রেস বা আইপ্যাড ব্যবহার করে করতে পারেন। তবে কোন পদ্ধতি আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে তা সিদ্ধান্ত নিতে আপনার স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর সাথে পরামর্শ করতে পারেন।
আরো পড়ুন ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ ও চিকিৎসা https://www.sbdfoodtips.xyz/2023/03/Breast-cancer-symptoms-and-treatment.html
গাঁজার তেল
গাজার তেল বা (সিবিডি) তেল ঐতিহ্যগত ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য একটি জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠেছে। গবেষণা পরামর্শ দেয় যে এটি ক্যান্সারের সাথে যুক্ত উপসর্গ বিশেষ করে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি প্রমাণিত যে সি বি ডি বা গাজার তেল খিচুনি চিকিৎসা এবং প্যারাময় কমাতে বিশেষ কার্যকরী।
ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রত্যাহিক জীবনে কয়েকটি পরিবর্তন
প্রতিদিনের লাইফস্টাইলে মাত্র কয়েকটি পরিবর্তন আনলেই ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে ক্যান্সারের অন্যতম উপায় হচ্ছে ধূমপান। ধূমপানের সঙ্গে ক্যান্সার বিশেষভাবে জড়িত। বিশ্বের যত ধরনের ক্যান্সার রয়েছে তার ভিতর 90% ক্যান্সারই ধূমপানের কারণে হয়ে থাকে। এছাড়া আমরা অনেকেই জানিনা যে, সূর্যের আলো শরীরে ভিটামিন ডি সঞ্চয় করে এবং মেলানিন এর ঘাটতি পূরণ করে। যা আমাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের লাইফস্টাইলে ধূমপান পরিত্যাগ করার পাশাপাশি শরীরের জন্য সূর্যের আলো লাগানোটা অনেকটা জরুরী। তবে অতিরিক্ত সূর্যের তাপ থেকে অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের স্বাস্থ্য ও ত্বকের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যা থেকে স্কিন ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই অতিরিক্ত সূর্যের তাপ শরীরে লাগানো উচিত নয়। সেই সাথে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণসহ শারীরিক ব্যায়াম করার ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেক অংশ হ্রাস পাবে।