জীবন নিয়ে কিছু বাস্তব কথা
প্রতিটা মানুষের জীবনে থাকে অফুরন্ত চাওয়া, পাওয়া, কামনা-বাসনার হাজারো স্বপ্ন। আর মানুষের এই চাওয়া পাওয়া নিয়ে জীবনের কিছু চরম সত্য কথা তুলে ধরব আজকে আমাদের এই আলোচনায়। প্রতিটা মানুষ আলাদা আলাদা হয়ে থাকলেও, মানুষের কিছু কিছু বিষয় আছে এগুলো একে অপরের সাথে অনেকটাই মিলে যায়। যদিও প্রত্যেকের চাওয়া পাওয়া স্বপ্ন এক নয়, তবুও আজকে আমরা জেনে নিব মানুষের জীবনের কিছু চরম সত্য।
জীবনের কঠিন কিছু সত্য
মানুষ স্বভাবত কল্পনাপ্রবণ, কিন্তু জীবনে বাস্তবতায় পরিপূর্ণ। মানুষের জীবনে যখন কল্পনা ও বাস্তবের মধ্যে অমিল দেখা যায় তখনই শুরু হয় মানসিক সংঘাত। তবে যাই হোক না কেন যত কঠিন বাস্তব হোক না কেন তা অবশেষে প্রতিটা মানুষকে মেনে নিতেই হয়। আর এটাই হলো প্রকৃতির নিয়ম। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক জীবনের কঠিন কিছু সত্য সম্পর্কে।
প্রতিটা মানুষের জীবনের কিছু চরম সত্য কথা
মধ্যবয়সী একজন ভদ্রলোক ও বিয়ের জন্য অল্প বয়সে সুন্দরী মেয়ে খুঁজতে থাকে। কথাটা শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই বাস্তব। আমরা কখনো আমাদের নিজেদের স্ট্যাটাস অথবা নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে চিন্তা করি না। আমরা সবসময়ই বেটার অপশন খোঁজার জন্য চেষ্টা করি। আর এটাই কখনো কখনো আমাদের জীবনে চরম দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
১. নিজের দোষ নিজে ধরা
প্রতিদিন যৌনপল্লীতে যাওয়া ছেলেটাও একটা ভার্জিন মেয়ে খুজে বিয়ের জন্য। এটিও আমাদের জীবনের একটি চরম সত্য কথা। কথায় আছে মানুষ নিজের বেলায় উকিল হয়ে দোষ ঢাকে আর অপরের বেলায় জর্জ হয়ে বিচার করে। বিষয়টা এমনই। আমরা প্রত্যেকেই সর্বদা নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করি এবং অপরের দোষটাকে সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করি। আর এটি আমাদের জীবনের অনেক বড় একটা ভুল সিদ্ধান্ত। যার কারণে জীবনে নেমে আসতে পারে অনেক বড় দুর্বিষহ। সুতরাং আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজের দোষটাকে ধরতে পারা এবং নিজেকে সংশোধন করা।
২. অপ্রতাশিত আশা
প্রাইমারি অথবা হাই স্কুলের গণ্ডি না পেরোনো ছেলেটাও স্বপ্ন দেখে একজন শিক্ষিত মেয়ে তার ঘরে বউ হয়ে আসবে। কথাটা হাস্যকর হলেও এটাই বাস্তব। এটি আশ্চর্যকর একটি আশা বলতে পারেন। তবে সত্যি তো এটাই যেখানে নিজে অশিক্ষিত সেখানে একজন শিক্ষিত মেয়ে কি করে তার বউ হয়ে আসতে পারে ।
কখনো কখনো একটা ছেলে একটার পর একটা মেয়েকে বিয়ে করবে বলে কথা দেওয়ার পরও বিয়ের জন্য বাবা-মায়ের পছন্দের মেয়েকেই নির্ধারণ করে। ছেলেদের ক্ষেত্রে এমন অনেক সময় হয়ে থাকে। সুন্দর বাবা-মায়ের বাধ্য ছেলেও বলতে পারেন।
আরো পড়ুন ক্যারিয়ার ধ্বংস হওয়ার ১০ টি প্রধান কারণ https://www.sbdfoodtips.xyz/2023/03/Top-10-Reasons-for-Career-Ruin.html
কোন কোন মানুষ আবার অপূর্ব চিন্তা চেতনার অধিকারী হয়ে থাকে। শহরের স্মার্ট ছেলেটা শহরের স্টাইলিশ সুন্দরী মেয়ের উপরে ক্রাশ খেলেও বিয়ের সময় ঠিকই গ্রামের খ্যাত মেয়েটিকে বেছে নেয়। একটা মেয়ের জীবনে এটি সৌভাগ্য হতে পারে। আবার দুর্ভাগ্য হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্য হওয়ার সম্ভাবনা টাই বেশি।
৩. অপূর্ব চিন্তা
ছেলেদের চরিত্রটা বেশ অদ্ভুত। সারা রাত জেগে পর্ন দেখা ছেলেটাও তার বউকে বোরকা কিনে দেয়। কি অদ্ভুত আমাদের চিন্তা চেতনা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেয়েদের টিচ করা ছেলেটাও একটা ভদ্র মেয়ের আশায় থাকে। কখনো বা ধর্ষকও বিয়ের পর তার বইয়ের অতীত নিয়ে কথা তোলে। কথাগুলো অনেকটা চিন্তার বাইরে হলেও এটা বাস্তব সত্যি। প্রতিদিন রাত জেগে চ্যাটিং করা ছেলেটাও চায় তার হবু বউয়ের জন্য ফেসবুক আইডি না থাকে।
৪ ভদ্র সমাজ
একটা মেয়ের জীবনের কথা বলি। মেয়ে তুমি মুখে লেডিস ফার্স্ট হলেও বাস্তবতায় পড়ে আছো পুরুষশাসিত সমাজের যাঁতাকলের নিচে। আমাদের এই সমাজের নিয়ম-কানুন চিন্তা চেতনা বড়ই অদ্ভুত। পুরুষ শাস্তিত এই সমাজে একটা যৌনপল্লীর মেয়ে কখনো কারো বউ হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। অথচ পল্লীতে যাওয়া নিয়মিত ছেলেটা বউ বাচ্চা নিয়ে দিব্বি সংসার করে। আর ধর্ষিতা মেয়েটি সবার আড় চোখেই পড়ে থাকে। এদিকে ধর্ষকরা হাসিমুখে ঘুরে বেড়ায় আমাদের এই ভদ্র সমাজে। তোমার চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয়তা সবার মোহ, কিন্তু এটি ক্ষণিকের জন্য চিরস্থায়ী নয়। তুমি যতই সুন্দরী, রূপবতী, গুণবতী, শিক্ষিত, মার্জিত হওনা কেন তার কোন দাম নেই এই সমাজের চোখে পুরুষের কাছে।
আমাদের সমাজে একটা ছেলের অনেকগুলোই বান্ধবী থাকতে পারে এটি স্বাভাবিক। কিন্তু একটা মেয়ের কোন ছেলে বন্ধু থাকাটা অতটা সহজ হতে পারে না। এটি ভদ্র সমাজের অপরাধ। একটা ছেলে চাইলে বছরের পর বছর বিয়ে না করেও শেষ বয়স অবধি একা কাটিয়ে দিতে পারে। অথচ সেই ভদ্র সমাজে একটা মেয়ে একটু বড় হলেই পাড়া-প্রতিবেশিসহ সমাজের ঘুম হারাম হয়ে যায় এই চিন্তায়, যে মেয়েটা আইবুড়ো হয়ে গেছে এখনো তার বিয়ে দিচ্ছে না কেন।
সত্যি বলতে পুরুষ শাসিত এই ভদ্র সমাজে মেয়েদের কোন স্বাধীনতা নেই। নেই নিজেকে আত্মপ্রকাশ করার সুযোগ। শুধু মুখেই বলি নারী পুরুষের সমান অধিকার। কিন্তু যারা বুদ্ধিমান তারা বলবে এখানে কোন মতলব আছে। সুতরাং জীবনের চরম সত্যি গুলো উপলব্ধি করে এই সমস্ত অসুস্থ চিন্তা ভাবনা না করে মন মানসিকতা পরিবর্তন করাটাই বেশি যুক্তি যুক্ত।